শনি গ্রহ ও বৃহস্পতি গ্রহের্ সংযোগ
( লাইভ দেখুন বা না দেখুন লেখাটি পড়ে নিতে পারেন )
১২২৬ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা মার্চ পৃথিবীর আকাশে শনি গ্রহ ও বৃহস্পতি গ্রহ খুব কাছাকাছি এসেছিলো। তারপরে প্রায় ৩৯৭ বছর পরে ১৬২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই জুলাই গ্রহদুটি এরকম কাছাকাছি এলেও তখন দিনের আকাশে গ্রহদুটি ছিল। এখানে একটু বলে নেওয়া যেতে পারে , এই সময় গ্যালিলিও বেঁচেছিলেন এবং এই দেখা থেকে সবার মতো তিনিও বঞ্চিত হয়েছিলেন। যাই হোক এর আরো ৩৯৭ বছর পরে ( অর্থাৎ ১২২৬ খ্রিস্টাব্দের ৭৯৪ বছর পরে) গ্রহদুটি এরকম কাছাকাছি আসছে আগামী ২১ শে ডিসেম্বর এবং তা দেখাযাবে রাতের আকাশে । একেই শনি গ্রহ ও বৃহস্পতি গ্রহের্ সংযোগ বলা হয়। এখানে যে কাছাকাছি আসার কথা বলা হচ্ছে তা পৃথিবীর সাপেক্ষে এদের মধ্যে কৌণিক দূরত্বের নিরিখে বলা হচ্ছে। এই বছরের এই সংযোগের সময় শনি গ্রহ ও বৃহস্পতি গ্রহের্ মধ্যে কোন হবে ০.১ ডিগ্রী। (পূর্ণ চাঁদের দুই বিপরীত প্রান্ত ০.৫ ডিগ্রী কোন করে এবং এখান থেকে ০.১ ডিগ্রীর ধারণা করা যেতে পারে) এরকম কোনো ভাববার কারণ নেই যে এরা পাশাপাশি গায়ে গায়ে লেগে আছে। যে যার কক্ষপথে আছে , শুধু পৃথিবীর সাপেক্ষে একই দিকে আছে। খালি চোখে গ্রহদুটি দেখা যাবে ও দুটো গ্রাহকে একটি উজ্জ্বল গ্রহ মনে হবে। কিন্তু টেলিস্কোপে আলাদা করে গ্রহ দুটিকে চেনা যাবে তাদের উপগ্রহ সমেত। আমাদের ১০ ইঞ্চি উন্মেষের টেলিস্কোপের সাহায্যে "Science Activity Channel " ( https://www.youtube.com/ScienceActivityChannel )-এ লাইভ ভিডিও দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে চাইলে আপনারা চ্যানেলে সন্ধ্যা ৫:৩০ এ চোখ রাখুন। খালিচোখে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে দিগন্ত রেখার প্রায় ২০-২২ ডিগ্ৰী ওপরে দেখুন। ২১ তারিখের আগে ও পরের দিনও দেখুন , তাহলে ওই দিনের সঙ্গে অন্য দিনের পার্থক্য বুঝতে পারবেন ( এদের মধ্যেকার দূরত্বের ) । এর সঙ্গে বলে নেওয়া ভালো যে , অনেক কুসংস্কার এর সঙ্গে জড়িত আছে। সেগুলো সব ভ্রান্ত। এই ঘটনায় যদি কিছু পরিবর্তন হয় তা মহাকর্ষীয় বলের পরিবর্তন যা নগন্য ( কোটি কোটি নক্ষত্র ও তাদের গ্রহের সাপেক্ষে ) । এমন কি পৃথিবী যেহেতু উপবৃত্তাকার পথে দুটি ফোকাসের একটিতে সূর্যকে রেখে প্রদক্ষিণ করে চলেছে , তাই অপসূর ও অনুসূর অবস্থানে মহাকর্ষ বলের পার্থক্য অনেক বেশি হয় প্রতি বছর। এই সব বিবেচনা করলে এই সংযোগে কোনো প্রভাব পড়বেনা। আবার অন্য ভাবে এই মহাবিশ্বের কোটি কোটি নক্ষত্র ও তাদের গ্রহগুলির অবস্থান প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে ও তাদের কোনো প্রভাব আমাদের ক্ষতি করতে পারছে না। ফলে এই শনি ও বৃহস্পতির সংযোগ আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না। আবার ইতিহাসে যে দুবার এই ধরণের সংযোগের কথা আগে উল্লেখ করেছি , তখন কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়ে ছিল - এরকম কোনো প্রমান পাওয়া যায় না। সুতরাং নির্ভয়ে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করুন , উপভোগ করুন। আর চাইলে আমাদের চ্যানেলে লাইভ দেখুন। ধন্যবাদ।
আমাদের চ্যানেলের লিংক : https://www.youtube.com/channel/UC3jnnclwpXLp4w8pzfzPjnQ
আমাদের চ্যানেলের ফেসবুক পেজের লিংক:
https://www.facebook.com/scienceactivitychannel
No comments:
Post a Comment